আমাদের নগরবাসির সাথে ধুলোর এক ধরনের ভালোবাসার সম্পর্ক আছে। যতই আপনি চাইবেন ঘরের ধুলো দূর করতে তারা বারবার ফিরে আসবেই। তাই আসুন জেনে নেই কিভাবে এই সম্পর্কের মাঝে দূরত্ব বাড়াতে পারবেন।
প্রথমে জেনে নেই যে কি এই ধুলো? ধুলো হচ্ছে আমাদের শরীরের মৃত কোষ, গাছপালার মৃত তন্তু ও কাপর/কাগজ এর ক্ষয় হওয়া অংশ। মনে রাখবেন, ধুলো কখনো বাসায় একা আসে না, সাথে নিয়ে আসে হরেক রকমের জীবাণু আর এই জীবাণু আমাদের এজমা, এলার্জি সহ আরও অনেক রোগের কারন।
কিভাবে দূর করবেন?
১) বিছানার কাভার পরিবর্তন করুন প্রতি সপ্তাহে।
ধুলো এবং ধুলোর সাথে উড়ে আসা জীবাণুদের সবচাইতে পছন্দের জায়গা আপনার বিছানাটি। তাই সাপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর ও কভার পরিবর্তন করুন। এবং যদি সম্ভব হয় বক্স খাট ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন। কারন বক্স খাটের কিছু অংশ থাকে যেগুলো চাইলেই সহজে পরিষ্কার করা যায় না।
২) ক্লজেট পরিষ্কার রাখুন। কাপড় আলমারিতে রেখে নিশ্চিন্তে আছেন? লাভ নেই। প্রতিবার সেটা খোলার সাথে সাথে জীবাণুর প্রবেশ ঘটছে। এবং আপনার সাধের আলমারিটি হয়ে যাচ্ছে তাদের অভয়ারণ্য। তাই যদি সম্ভব হয় কাপড়গুলো ব্যাগে রাখুন। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে অন্তত আপনার কম ব্যবহৃত কাপড়গুলো যেমন শীত বস্ত্র/উলের কাপড় ইত্যাদি রাখার জন্যে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যাবহার করুন।
৩) গৃহসজ্জায় বাহুল্য রাখবেন না। সব সজ্জার কথা বলছি না। তবে উলের অথবা তুলার তৈরি জিনিসপত্র দিয়ে ঘর কম সাজানোই ভাল। এগুলো ধুলোর জন্যে খুব ভাল আশ্রয়দাতা হিসেবা কাজ করে। এছারাও যেসব উপাদান এর আসে পাশে পরিষ্কার করা যায় না সেগুলোর যথা সম্ভব স্বল্প ব্যাবহারই শ্রেয়।
৪) কার্পেট নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ক্লিন করুন। হ্যাঁ, কার্পেট ঘরের সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দেয়। তবে এই সৌন্দর্যের মূল্য কম নয়। আপনি যদি কার্পেট ব্যাবহার করতেই চান তাহলে প্রতিদিন এটিকে ভ্যাকুয়াম ক্লিন করুন। এবং ক্লিনারের সাথে “ডাবল লেয়ার মাইক্রো ফাইবার” এর ব্যাগ ব্যাবহার করুন। তা না হলে জীবাণু আবার ঘরেই ফিরে আসবে। তবে এই ব্যাস্ত জীবনে এত সময় কোথায়? তাই কার্পেটকে না বলাই শ্রেয়।
৫) ডাস্টার এর বিকল্পে ওয়েট ওয়াইপ্স।
ঘরের ধুলো/ময়লা পরিষ্কার করার জন্যে ডাস্টার ব্যাবহার করা বিপদজনক। ডাস্টার দিয়ে ধুলো ঝাড়লে তা এক জায়গা থেকে উড়ে আরেক যায়গায় গিয়ে পরে। এবং আশেপাশে যারা আছে তাদের নিঃশ্বাস এর সাথে দেহের ভেতরে যায়। তাই ডাস্টার এর পরিবর্তে ভেজা সুতি কাপড় ব্যাবহার করা উচিত।
৬) নিয়ম মেনে পরিষ্কার করুন।
ঘরের উপরের স্থান (সিলিং,কার্নিশ, ইত্যাদি) গুলো আগে পরিষ্কার করুন এবং পর্যায়ক্রমে নিচের দিকে পরিষ্কার করতে থাকুন।
৭) ক্লিনিং রুটিন ফলো করুন।
সপ্তাহের একদিন সব কষ্ট না করে একটি রুটিন বানিয়ে রাখুন। প্রতিদিন অল্প অল্প করে পরিষ্কার করে রাখলে সেটা খুব একটা কষ্টের ব্যাপার হবে না। এছাড়াও আপনি চাইলে মাসের যে কোন একটি বা দুটি সপ্তাহে আপনার ঘরটি ডিপ ক্লিন করতে পারেন।
৮) প্রফেশনাল ডীপ ক্লিনিং সার্ভিস সাবস্ক্রাইব করুন। বছরের বিশেষ কিছু সময়ে প্রফেশনাল ডীপ ক্লিনিং সার্ভিস ব্যাবহার করুন। শীতের শেষে অথবা গ্রীষ্মের সময় ধুলোবালির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। তাই এসব সময়ে ঘরকে দীর্ঘমেয়াদী ভাবে ধুলো ও জীবানুমুক্ত রাখতে প্রফেশনাল ডীপ ক্লিনিং সার্ভিস এর সাহায্য নিন।
ক্লিনিং সহ আপনার বাসা-বাড়ি কিংবা অফিসের যেকোনো মেইন্টেন্যান্স প্রয়োজনে সাহায্য করবে হ্যান্ডিমামা।